Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

সাম্প্রতিক কর্মকান্ড

 

১। আবর্তক কৃষি ঋণ কার্যক্রম (আর এল এফ- কৃষি)

 

কৃষি ও উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও টেকসই উন্নয়নে ঋণ একটি চালিকা শক্তি। দারিদ্র্য বিমোচনে এই ঋণ কার্যক্রমের ব্যাপ্তি ও প্রয়োজনীয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র বাসত্মবায়নে ২০০৩-২০০৪ অর্থ বছর থেকে রাজস্ব বাজেটের আওতায় ‘‘পল্লী অঞ্চলে বিতরণের জন্য ঘূর্নায়মান পল্লী উন্নয়ন ঋণ তহবিল’’ শিরোনামে বিআরডিবি’র নিজস্ব ঋণ কার্যক্রম শুরম্ন হয়।  যা বিআরডিবি পরিচালিত ঋণ কার্যক্রমে প্রবাহ সৃষ্টিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ফলে ঋণ তহবিল প্রাপ্তিতে ব্যাংক নির্ভরতা কমে এসেছে এবং ঋণ তহবিলের নিরাপত্তা স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মধ্যস্বত্বভোগী ব্যাংক না থাকাতে সুদের হার ও কমেছে।

 

২। সমন্বিত দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি (সদাবিক) :

 

বাংলাদেশের সকল শ্রেণীর নারী, পুরম্নষ, প্রামিত্মক ক্ষুদ্র মাঝারী ও বর্গাচাষী সহ দারিদ্র্য পীড়িত জন গোষ্ঠীর দারিদ্র হ্রাসের বিষয়টি গুর“ত্বপূর্ণ বিবেচনা করে সরকারের রাজস্ব বাজেরটের অর্থায়নে বি.আর.ডি.বি জুলাই ২০০৩ থেকে একযোগে ৩টি কর্মসূচী যথা ১। সমন্বিত দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি (সাদাবিক) ২। ক্ষুদ্র কৃষক ও বর্গাচাষী উন্নয়ন কর্মসূচী (এস এফ ডি পি) এবং (৩) দারিদ্র্য বিমোচনে মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থান কর্মসূচি গুলোর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে এক ও অভিন্ন বিবেচনায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের ৪১ তম সভার সিদ্ধান্তের আলোকে ৩টি কর্মসূচি ‘‘সমন্বিত দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি (সাদাবিক) শিরোনামে একীভুত করা হয় এবং তা জুলাই ২০০৬ থেকে বাস্তবায়িত হচ্ছে। 

 

৩। পল্লী প্রগতি প্রকল্প (পঃপ্রঃপ্রঃ) :-

 

পল্লী প্রগতি প্রকল্পটি (পপ্রপ্র) সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন একটি দারিদ্র্য বিমোচনমূলক প্রকল্প। জুলাই ২০০০ হতে জুন ২০০৫ পর্যন্ত প্রকল্পের ১ম পর্যায়ে গ্রহণ করা হয় পরবর্তীতে জুন ২০০৮ পর্যন্ত আরো ৩ বছর প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। ১ম পর্যায়ের মেয়াদ জুন ২০০৮ এ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের ২য় পর্যায় অনুমোনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে ডিপিপি দাখিল করা হয়েছে। সরকারের অনুমোদনক্রমে প্রকল্পের কার্যাক্রম নিজস্ব ব্যবস্থাধীনে ও অর্থায়নে অব্যহত রয়েছে।

 

৪। অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পোষ্যদের প্রশিক্ষন ও আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচী :

 

দেশ মাতৃকার স্বাধীনতা অর্জনে এ দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতিত্ব সর্বজন স্বীকৃত। স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই আর্থিক দৈন্যতায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সম্পদে পিছিয়ে পড়া ঐ সকল অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পোষ্যদের পরিবারের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর ও স্বচ্ছল করার লক্ষ্যে সরকারী অর্থায়নে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয় ২০০৩ হতে এ কর্মসূচি হাতে নেয়। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘‘ অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পোষ্যদের প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচি’’ শিরোনামে গৃহীত কর্মসূচিটি বাসত্মবায়নের দায়িত্ব বিআরডিবি’র উপর অর্পন করা হয়। বর্তমানে বি.আর.ডি.বি দেশের সকল উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

 

৫। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প :

 

প্রতিটি পরিবারকে মানব ও অর্থনৈতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে টেকসই আর্থিক কার্যক্রমের একক হিসেবে গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালের মধ্যে জাতীয় দারিদ্র্য ২০% এ নামিয়ে আনা ‘‘একটি বাড়ি একটি খামার’’ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। ২০১৩ সালের মধ্যে প্রকল্প থেকে গ্রাম সংগঠনের অতিদরিদ্র্য/দরিদ্র সদস্যদের মাসিক সঞ্চয়ের বিপরীতে সমপরিমাণ কন্ট্রিবিউটর মাইক্রো সেভিংস প্রদানের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারের ব্যক্তি সঞ্চয় বছরে নূন্যতম ৫,০০০/- টাকায় উন্নীত করা যা ২ বছরে ১০ হাজার এবং ৫ বছরে ২৫ হাজার টাকায় উন্নীত হবে।

 

৬। অংশীদারিত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-3 (পিআরডিপি-3)

 

উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় জন অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করাই পিআরডিপি-3 এর মূল উদ্দেশ্যে।

PRDP-3 তৃণমূল পর্যায়ে গ্রাম কমিটির প্রতিনিধিবৃন্দ, সরকারী-বেসরকারী সংস্থাসমূহের ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মীর্বৃন্দ এবং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতি মাসে ইউনিয়ন সমন্বয় কমিটির সভা পরিচালনার মাধ্যমে স্থানীয় চাহিদা ভিত্তিক সেবাসমূহ নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়।

১৯৮৬ খ্রি: থেকে ১৯৯০ খ্রি: পর্যন্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্দ্যোগে JSARD বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে জাইকার সহায়তায় একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালু হয়। যা ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন পরিবর্তন সম্প্রসারণ ও সংশোধিত হয়ে বর্তমানে পিআরডিপি-3 বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার ৮৫টি উপজেলার ২০০ টি ইউনিয়নের বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং পর্যায়ক্রমে দেশের ৪৪৯৮ টি ইউনিয়নে এই পিআরডিপি-২/ লিংক মডেল বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।

পিআরডিপি-3 এর কার্যাবলীসমূহ

১। গ্রাম কমিটি গঠন, গ্রাম কমিটির মিটিং (জিসিএম) পরিচালনা, সমস্যা চিহ্নিতকরণ, চাহিদা নিরম্নপন, উপকারভোগী নির্বাচন ও সিদ্ধামত্ম গ্রহণ।

২। ইউনিয়ন সমন্বয় কমিটির সভা (ইউসিসিএম) পরিচালনা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা অর্জন, মূল্যায়ন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং চূড়ান্ত অনুমোদন।

৩। সরকারী- বেসরকারী সংস্থা সমূহের ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ইউনিয়ন বাসীদের কাংঙ্খিত সেবার মান নিশ্চিত করণ।

৪। স্থানীয় জনগণের চাহিদা ভিত্তিক বিভিন্ন সচেতনতামূলক ও দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান।

৫। চাহিদা ভিত্তিক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অবকাঠামোগত উন্নয়ন। যেমনঃ পাড়া রাস্তা নির্মাণ, স্যানিটেশন, আর্সেনিকমুক্ত নলকূপ স্থাপন, সাঁকো ও ড্রেন নির্মাণ, কার্লবাড নির্মান, ইটের সলিং/ রাস্তা নির্মান, গ্রামীণ হাট বাজার উন্নয়ন, লাইব্রেরি স্থাপন, স্কুল মাদ্রাসার মাঠে মাটি ভরাট, আসবাবপত্র তৈরি, সংস্কার ও প্রাচীর নির্মাণ ইত্যাদি।  


 

 

সুবিধাভোগীদের সংখ্যা (2020-2021 সাল পর্যন্ত)

 

প্রায় 20000 (বিশ হাজার) জন